Loading...

Monday, January 16, 2023

ছেলের হাতেই ডোকরা শিল্পের ভবিষ্যৎ দেখছেন রাষ্ট্রপতি-পুরষ্কারপ্রাপ্ত গীতা কর্মকার

 




সুদীপ পাকড়াশী


ডোকরা শিল্প ভারতের প্রাগৈতিহাসিক কর্মকাণ্ডগুলোর মধ্যে একটি। যার বয়স প্রায় চার হাজার! প্রত্নতত্ববিদরা এই শিল্পের নিদর্শন প্রথম দেখেছিওলেন হরপ্পা আর মহেঞ্জোদরো খুঁড়ে বার করার সময়! কয়েক হাজার বছর আগে এক বিশেষ ধরণের 'মেটাল কাস্টিং' পদ্ধতির প্রয়োগে সৃষ্টি করা হত নানা রকমের শৈল্পিক উপাদান। পদ্ধতিটির একটি নামও রয়েছে, 'লস্ট ওয়াক্স কাস্টিং'। ধাতুর পটের ওপর রাধা-কৃষ্ণের ছবি থেকে শুরু করে ধাতুর তৈরি গনেশ, কৃষ্ণের মূর্তি, ধাতুর তৈরি পটের ওপর লক্ষী ও তার কাহিনীর চিত্রায়ণ-সমস্ত কিছুর সৃষ্টি হয় এই শিল্পে। পরবর্তীকালে মধ্যপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ড হয়ে ধোকরা শিল্পের চর্চার প্রতিষ্ঠা হয় বাঁকুড়া, বীরভূম ও বর্ধমানে। 


৫৩-বছর বয়সী গীতা কর্মকার জানেন এই ইতিহাসের কথা। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম ডোকরা শিল্পী এই মহিলা। বাঁকুড়ার বিঘনা, শিল্পগ্রামে ডোকরা শিল্পের সাধনা তিনি করে চলেছেন প্রায় ৪০ বছর ধরে! ২০০৩-এ রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারও পেয়েছেন। কিন্তু কোথায় সেই পুরষ্কারের অহং! গীতা দেবীকে মনে না পড়ালে হয়ত তিনি নিজে থেকে বলতেনও না! তার স্মৃতিতে যে এখনও উজ্জ্বল শৈশবের অপরিসীম লড়াইয়ের দিনগুলো। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই। বাবা বিড়ি বাঁধতেন। চার বোন আর এক ভাই। অল্পবয়সে পিতৃহীন হতে হল। ভাই আর বোনদের ভাত যোগাতে হবে যে! মা-র সঙ্গে লোকের বাড়ি কাজ করতেন। তার সঙ্গে অন্যের জমিতে চাষের কাজ, মানে দিনমজুর হয়ে খাটা। তারই মধ্যেও হাতের কাজের শখ ছিল। কাপড়ের টুপি, বালিশের ঢাকা, মাফলার তৈরির কাজও চলত। সেগুলো বিক্রি করে কতই বা রোজগার ছিল।কত দিন যে ভাল করে খাওয়া জোটেনি!


ডোকরার কাজে মগ্ন শিল্পী 


সেই গীতা কর্মকারের এক বিকেলে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল! পণ দেওয়া সম্ভব ছিল না। তাই সকালে মেয়ে দেখতে এসে বিকেলে তার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। স্বামীর নাম গোপাল কর্মকার। তার হাতেই ধোকরার হাতে খড়ি। প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। গীতা বলছিলেন, "প্রথমে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে ঘরের এত কাজ করতে হত যে ধোকরা শেখা হয়নি। তারপর মেয়ে হওয়ার আগে আমি স্বামীর কাছে শিখেছিলাম ধোকরার কাজ। সকাল থেকে বসতাম। তখন শুধু শিল্প গড়া আর ভাঙার কাজ ছিল। কতক্ষণ যে কাজ করতাম মনে নেই। বিকেল হয়ে যেত দুপুরের খাওয়া শেষ করত।" 


গীতা দেবীর ডোকরার কাজ প্রথম দেখেছিল দিল্লির হাট, কলকাতা নয়। সেটা ১৯৯৬। যদিও তার প্রথম পুরষ্কার পাওয়া রাজ্য সরকারের হাত থেকে, ১৯৯৯-এ। তারপর টানা ৬ বার সেরা ধোকরা শিল্পীর পুরষ্কার তিনি পেয়েছেন। গীতার কথায়, "ডোকরা পটের গায়ে একটা ছোট্ট নৌকার ওপর ছবিতে সৃষ্টি করেছিলাম বেহুলা-লখীন্দরের কাহিনী। সেটাই এনে দিয়েছিল সেরার সম্মান।" রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার পেয়েছিলেন ২০০৩-এ লক্ষীর গল্প লিখে। ধোকরার পটে। কিন্তু টাকা বেশি পাননি। মাত্র ১০ হাজার! 


তবু পরবর্তীকালে ব্যাঙ্ক লোনের পরিমাণ সরকার বাড়িয়েছে। আড়াই লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা করে দিয়েছে। এখন গীতা কর্মকারের নেতৃত্বে বাঁকুড়ার বিঘনা গ্রামে একাধিক ধোকরা শিল্পী। বংশ পরম্পরায় ধোকরা শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন তারা। 


আর এর মধ্যে গীতা কর্মকারের আলাদা প্রাপ্তি, ছেলে তাপস কর্মকারও সম্পূর্ণ এক শিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। গীতার কথায়, "এবছর রাজ্য সরকারের সেরা ধোকরা শিল্পীর সম্মান পেয়েছে ছেলে। এর চেয়ে আনন্দের আর কী আছে আমার কাছে!" 

Friday, January 13, 2023

Academy of Fine Arts struggle for survival continues, now against the 'so-called' politics

 




People would have died for the Academy of Fine Arts, situated in the heart of the city in any other metropolis. None could have ignored the Academy which has a periphery of green public space, highly conducive to public transport, six free-flowing exhibition galleries comprising an area of 6300 square feet, an auditorium that has been hosting historic and revolutionary plays over the decades, and exceptional collection of contemporary paintings (not less than 1300), textiles, carpets, manuscripts as well as the sculptures created by legendary Ramkinkar Baij. 


The Academy of Fine Arts has not been unfortunately taken care of by the state government even though the sprawling Rabindra Sadan, Sishir Mancha, and Nandan with Bangla Academy were acquired by the state government as its property. The consequence was clear. The historic institution that was originally introduced in 1933 on the premises of the Indian Museum and later shifted to its present location following an initiative from Lady Ranu Mukherjee and her husband late Sir Biren Mukherjee and started its journey in 1959, began to decline from its pinnacle gradually since the era of Lady Ranu Mukherjee when she presided over its destiny in the 1960s and continued till the 1990s. 

During the period that spanned more than three decades, the Academy of Fine Arts was called the 'nerve center' of Kolkata. It was instrumental in creating space for the 'public art culture' and offering audiences to have a feel and appreciation. Distinguished scholars of the history of art and theatre-world across the country made incessant productions of culture and new explorations over the years.


The hall received a rude blow in 2020 that lasted till the middle of 2021 courtesy Covid-19 pandemic and lockdown. According to the general secretary of the Academy of Fine Arts, Kallol Bose, the hall used to have an average earning of around Rs 12 lakh monthly before it was closed due to lockdown. The earnings were totally zero for two consecutive years even though 30-35 employees' salaries including permanent and non-permanent employees were cleared most of their monthly salaries after the executive committee took an overdraft of Rs 40 lakh. 


Since the beginning of last year, the scenario began to change. The Academy of Fine Arts started earning and Bose informed they had earned an average of Rs 10 to Rs 11 lakh every month throughout the year. But again, the organization is facing the hazard that is taking the traditional institution to vulnerability and this time, the obstruction is coming from a section of its staff. According to general secretary the particular section of the employees is actively associated with the ruling party of the state. 

Bose complained, "The particular section of the staff is demanding back-logs of their salaries for 2021 even though we have promised it would be cleared. Secondly, they agitate and try to jeopardize the operation by calling strikes against the demand that a non-permanent staff must be made permanent who was alleged of theft. How can we fulfill this demand?" 


Amidst the disturbance and lack of financial assistance, the executive committee is trying to make a reformation of its famous museum that has been closed to the public for around the last 10 years. Bose lamented, "The budget for the reformation and repairing of the museum along with the galleries was around Rs 8 crores. We received only Rs 50 lakh almost 15 years ago through a central government scheme. Still, there are nearly 1300 rare paintings and a few rare manuscripts. We have approached the central government, and state government a couple of times for financial assistance, but have not yet received any response." 

Still, patchwork is going at the museum and it is likely to be opened to the public once again soon. The people will again obtain the opportunity to witness the rare paintings of Nandalal Bose, and Abanindranath Tagore, and rare manuscript of Bhanusingher Padabali. 


Monday, January 2, 2023

Defying Dire Distress Anirban moves toward his goal



Sudeep Pakrashi

Anirban Ghosh is a name to reckon with in the field of Indian table tennis. He has not only won the men's singles title in the state championship this year once again, but Anirban has represented India also a couple of times. He was one of the members of the Indian team that participated in the Spanish Open Junior Championship in Barcelona in 2013. He took part in the South Asian Under-15 Championship held in Delhi and won an individual title in ITTF Global Junior Championship. Anirban who was ranked India's number one in the sub-junior category and also ranked one in youth at the junior level is presently ranked sixth in India in the senior category. Anirban also drew the attention of the Indian table tennis fraternity when in 2012 he, despite being the sub-junior national champion at the age of only 13 years, reached the semi-final in the men's category in the national championship and finally lost to his idol Sharath Kamal. Anirban also represented India to take part in Hungary Open Championship this year. 


The Dire Financial Distress


Anirban started playing table tennis in 2007. He was fond of playing cricket. But following encouragement from his uncle Anirban shifted his allegiance to table tennis. His father Abhijit Ghosh had a small shop for mobile recharge but it is closed for the last five years. His mother Kakali Ghosh is a housewife. Still, Anirban could continue the game thanks to his grandfather who supported him financially. Otherwise, the 24-year-old paddler had to go through sheer financial distress. 


He still recalls the day when his mother sold out her beloved harmonium to purchase the first racket for Anirban. 

The paddler said, "How can I forget those days? Within only six months of starting the game, I became runners-up in the state championship in the cadet category (under 12) and then my journey began. My father used to borrow loans against interest whenever I used to go outside Kolkata to take part in national zonal ranking tournaments. I finished within the top two in the competitions, received prize money and my father cleared the loan. This was the way I used to continue my game." Anirban's performance got affected also amidst the severe financial crisis. Still, he has not given up. The resident of Naihati seems to have shrugged off his dark time a little bit after he joined Indian Railways in 2018. 


Effect of Raman High-Performance Center


Anirban who started learning and training the game under the guidance of Amit Mukherjee and Sumit Mukherjee at Naihati Bijoynagar Club now practices under the tutelage of renowned former Indian international Subhramanium Raman's High-Performance Center in Chennai for around last two years. Anirban said, "Once I approached G.S Sathiyan, a student of Raman sir and one of India's best paddlers presently to practice with me. Then following his initiative I got admitted to Raman High-Performance Center. Training there is helping me a lot to improve. Raman sir is presently the coach of the men's Indian squad. So we practice under the observation of his wife, Olympian paddler Bhubaneswari Devi. Raman sir does not take any fees from me. I am hugely indebted. Following his initiative, I can do fitness training at Sports Dynamics which is looked after by R. Srinivasan who was appointed as the fitness trainer of the World Cup winning Indian team in 2011."


Anirban dreams of ensuring a berth in the senior national squad for the Asian Games next year and in a bid to ensure the qualification, the paddler has set his eyes on Asian Championship.







 

Sponsored AD Space

Sponsored AD Space
See Your AD Here